কভার লেটার কি??

আপনার পুরো সিভির একটা সংক্ষিপ্তরূপ কিংবা আপনি কোন পদে আবেদন করছেন এবং এইচআর ম্যানেজারকে আপনার সিভিটি দেখতে বাধ্য বা আকৃষ্ট করার জন্য আধুনিক যুগের অন্যতম হাতিয়ার হলো ‘কভার লেটার’। একটি চাকরিতে আবেদনের জন্য সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি কভার লেটারও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।সিভি যেভাবে আপনাকে উপস্থাপন করে ঠিক তেমনি ভাবে সিভির সাথে একটি কভার লেটার করতে পারে আপনাকে আরো পারফেক্ট। একটি কোম্পানি আপনাকে জানতে পারবে সিভির মাধ্যমে তবে কভার লেটার থেকে নিজেকে আরও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার বিশেষ কৌশল আছে।

কভার লেটার লেখার আগে করণীয়

ঐ কোম্পানির কাজ, কর্মকর্তার-কর্মচারীবৃন্দের কর্মকাণ্ড, চাকরি প্রত্যাশী ও প্রতিযোগিদের ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন। অবশ্যই কভার লেটার লিখতে বা তৈরি করতে বসার আগে চাকরির বিজ্ঞাপনের বর্ণনা ভালোভাবে পড়ে নিবেন। ওখানকার টার্মগুলোই লেটারে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

কভার লেটারে যেসব বিষয় থাকবে

কভার লেটার লেখার আগে আপনি যে কোম্পানিতে সিভি দিচ্ছেন সে কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। শুরুতেই তারিখ, কার নিকট লিখছেন ,কোম্পানির নাম ,ঠিকানা ইত্যাদি কভার লেটার এর বাম পাশে ধারাবাহিক ভাবে লিখবেন।

কোন পজিশন এর জন্য আপনি এপ্লাই করেছেন সেটি সাবজেক্ট এ উল্লেখ করবেন।

আপনি আপনার কভার লেটার লেখার উদ্দেশ্য টি সুন্দর করে তুলে ধরুন। চাকরির সোর্স আপনি কোন পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টাল থেকে পেয়েছেন তাও উল্লেখ করুন।

এরপর আপনি কেন এ চাকরির জন্য যথার্থ তা লিখুন সংক্ষেপে। এ অংশে আপনার দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে লিখুন।

আপনি যে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে চাকরির সিভি দিতে বা চাকরি নিতে চাচ্ছেন, সে প্রতিষ্ঠানে চাকরি হলে, আপনি প্রতিষ্ঠানটির জন্য কী কী ভালো সুযোগ-সুবিধা এনে দিতে পারবেন তা সম্পর্কে জানান। যাতে বুঝতে পারা যায় যে, আপনি সত্যি চাকরী টি করতে আগ্রহী এবং আপনাকে দিয়েই কাজটি হবেই হবে।

সর্তকতাঃ

সবসময়েই চেষ্টা করবেন যতোটা সম্ভব ছোট করে কভার লেটার লিখতে।

সবসময়েই মার্জিত ভাষায় কভার লেটার লিখবেন।

একটি সুন্দর ও সাবলীল বাক্য দিয়ে শুরু করুন এবং যেন সাথে সাথেই আপনি পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন।

অনেকে কভার লেটারে লিখে থাকেন যে এই চাকুরিটি পেলে তিনি ধন্য হবেন বা তার চাকুরিটি ভীষণ প্রয়োজন। নিয়োগকর্তা এসব নয়, বরং জানতে চান কেন আপনি ঐ কাজের জন্য যোগ্য। তাই সেই কথাটিকেই সংক্ষিপ্ত অথচ কার্যকরভাবে তুলে ধরুন।

নিজের সম্পর্কে যেমন বানিয়ে কিছু বলার দরকার নেই, তেমনি দুর্বলতা প্রকাশেরও দরকার নেই।

কপি পেস্ট কখনোই না। কেনোনা এইচআর তা সহজেই ধরতে পারবে। আর কপি পেস্ট কভার লেটার সবচেয়ে বেশী রিজেক্ট হয় সাধারণত।

প্রয়োজনীয় নয় এমন ব্যক্তিগত তথ্য না দেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।